কাঁচা কাঁঠালের ভাজি একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর পদ যা গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করলে মন ভরে যায়। বিশেষ করে যারা নিরামিষ খাবার পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার বিকল্প হতে পারে। কাঁঠাল শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও। আজকের রেসিপিতে আমরা দেখব কিভাবে খুব সহজে এবং অল্প উপকরণে মজাদার কাঁচা কাঁঠালের ভাজি তৈরি করা যায়। এই ভাজি তৈরি করতে যেমন বেশি সময় লাগে না, তেমনই এর স্বাদও অতুলনীয়। তাহলে আর দেরি না করে, চলুন দেখে নেওয়া যাক এই মুখরোচক পদটি তৈরি করতে আমাদের কী কী লাগবে এবং এর রান্নার পদ্ধতিটি কেমন।
যে উপকরন লাগবে
- কাঁচা কাঁঠাল – ২৫০ গ্রাম (ছোট টুকরো করে কাটা)
- পেঁয়াজ কুচি – ১টি (বড়)
- কাঁচামরিচ – ২-৩টি (স্বাদমতো ফালি করে কাটা)
- হলুদ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ
- মরিচ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ (স্বাদমতো)
- জিরা গুঁড়ো – ১/৪ চা চামচ
- ধুনিয়া গুঁড়ো – ১/৪ চা চামচ
- লবণ – স্বাদমতো
- তেল – ভাজার জন্য পরিমাণমতো
- ধুনিয়া পাতা কুচি – পরিমাণমতো(উপরে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য)
রান্নার প্রণালী

- প্রথমে কাঁঠালের টুকরোগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। যদি দেখেন কাঁঠালে আঠা আছে, তাহলে একটু তেল হাতে মেখে কাঁঠাল কাটতে পারেন।
- কাটার পরে টুকরোগুলো গরম পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন এতে আঠা চলে যায়।
- একটি পাত্রে কাঁঠালের টুকরোগুলো তুলে নিন এবং তার মধ্যে হলুদ গুঁড়ো ও সামান্য লবণ মাখিয়ে নিন। এতে কাঁঠালের নিজস্ব একটা কাঁচা গন্ধ চলে যাবে।
- এরপর একটি কড়াইতে তেল গরম করুন। তেল গরম হয়ে এলে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামী করে ভেজে নিন।
- পেঁয়াজ যখন সোনালী হয়ে ভাজা হবে, তখন তাতে রসুন কুচি এবং ফালি করে রাখা কাঁচা মরিচ যোগ করে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন যতক্ষণ না সুন্দর একটা সুগন্ধ বের হয়। এরপর হলুদ মাখানো কাঁঠালের টুকরোগুলো কড়াইতে দিয়ে দিন।
- কাঁঠালের সাথে পেঁয়াজ-রসুন ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এর মধ্যে জিরা গুঁড়ো, ধুনিয়া গুঁড়ো এবং (যদি ব্যবহার করেন) মরিচ গুঁড়ো দিয়ে দিন।
- সব মশলা কাঁঠালের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে লবণ দিন। মনে রাখবেন, প্রথমে কাঁঠালে সামান্য লবণ দেওয়া ছিল, তাই বুঝে শুনে লবণ দেবেন।
- কড়াইয়ের ঢাকনা বন্ধ করে দিন এবং মাঝারি আঁচে কাঁঠাল নরম হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে একটু নেড়েচেড়ে দিন যাতে তলায় লেগে না যায়। যদি প্রয়োজন হয়, সামান্য জল ছিটিয়ে দিতে পারেন।
- যখন কাঁঠাল সেদ্ধ হয়ে নরম হয়ে আসবে এবং ভাজা ভাজা ভাব হবে, তখন বুঝবেন ভাজি তৈরি হয়ে গেছে।
- সবশেষে ধুনিয়া পাতা কুচি ছড়িয়ে দিন এবং কিছুক্ষণ রেখে নামিয়ে নিন।
ব্যস! গরম গরম, জিভে জল আনা কাঁঠালের ভাজি রেডি। গরম ভাতের সাথে এটি পরিবেশন করুন, স্বাদ ভুলতে পারবেন না। পছন্দসই হলে সামান্য নারকেল কোড়ানো মেশাতে পারেন, তাতে স্বাদ আরও বাড়বে।
আশা করি আজকের এই রেসিপি আপনাদের ভালো লেগেছে। আপনারাও বাড়িতে বানিয়ে দেখুন এবং কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না!