মোবাইল এর ব্যাটারি ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে কি আপনি জানেন? আজকের দিনে স্মার্টফোন হোক বা সাধারন ফোন এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। যোগাযোগ রক্ষা করা থেকে শুরু করে বিনোদন, অফিসের কাজ – সবকিছুতেই এটি আমাদের সঙ্গী। কিন্তু একটা জিনিস প্রায়ই আমাদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় সেটা হলো ফোনের ব্যাটারি! ফোন ব্যবহারের কিছুদিন পরেই ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যায় এবং কিছুক্ষণ ব্যবহারের পরেই চার্জ ফুরিয়ে যায় যা খুবই হতাশাজনক। তবে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে আপনি আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারেন এবং এর জীবনকাল বাড়াতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে মোবাইল এর ব্যাটারি ভালো রাখা যায়।
এই নিবন্ধে যা যা থাকছে
স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমান

ফোনের স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা ব্যাটারির চার্জ ব্যবহারের অন্যতম প্রধান কারণ। আপনার ফোনের স্ক্রিন যত উজ্জ্বল হবে, এটি তত বেশি ব্যাটারি ড্রেইন করবে, যার সরাসরি প্রভাব পড়বে ব্যাটারির স্থায়ীত্বের উপর। এই কারণে, ব্যাটারির চার্জ সাশ্রয় করার একটি অত্যন্ত কার্যকর উপায় হলো স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখা।
আধুনিক স্মার্টফোনগুলোতে একটি স্বয়ংক্রিয় উজ্জ্বলতার (Auto-Brightness) বৈশিষ্ট্য থাকে। এই বৈশিষ্ট্যটি পরিবেশের আলোর তীব্রতার উপর নির্ভর করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা সামঞ্জস্য করে। এটি ব্যবহার করুন কারণ এটি অপ্রয়োজনে আপনার স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা বাড়ানো থেকে বিরত রাখে এবং শুধুমাত্র যখন প্রয়োজন তখনই উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
তবে, স্বয়ংক্রিয় উজ্জ্বলতা সব সময় নিখুঁতভাবে কাজ করে না অথবা আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ ভিন্ন হতে পারে। সেক্ষেত্রে, প্রয়োজন অনুযায়ী ম্যানুয়ালি আপনার ফোনের স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখা ব্যাটারি সাশ্রয়ের একটি চমৎকার উপায় হতে পারে।
আরও দেখুনঃ মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়
স্ক্রিন টাইমআউট (Screen Timeout) কমিয়ে দিন

স্ক্রিন টাইমআউট একটি গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস যা আপনার স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা এবং ব্যাটারি লাইফের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, স্ক্রিন টাইমআউট নির্ধারণ করে যে আপনি আপনার ফোন ব্যবহার করা বন্ধ করার পরে কতক্ষণ পর্যন্ত আপনার ফোনের স্ক্রিনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু থাকবে সেটি বোঝায়। একটি নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেই স্ক্রিনটি বন্ধ হয়ে যায় এবং ফোনটি স্লিপ মোডে প্রবেশ করে।
এই সেটিংসটি ব্যাটারি সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন আপনার ফোনের স্ক্রিন দীর্ঘ সময় ধরে অপ্রয়োজনে চালু থাকে, তখন এটি প্রচুর পরিমাণে ব্যাটারি খরচ করে। এর ফলে, আপনার ফোনের চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে এবং আপনাকে ঘন ঘন চার্জ করার প্রয়োজন হতে পারে। তাই, স্ক্রিন টাইমআউটের সময় কমিয়ে রাখুন।
ফোনের সেটিংস মেনুতে স্ক্রিন টাইমআউটের অপশনটি রয়েছে। সাধারণত এটি ডিসপ্লে বা লক স্ক্রিন সেটিংসের মধ্যে থাকে। এখানে আপনি বিভিন্ন সময়সীমার বিকল্প দেখতে পাবেন, যেমন ১৫ সেকেন্ড, ৩০ সেকেন্ড, ১ মিনিট, ২ মিনিট, ৫ মিনিট, ১০ মিনিট বা কখনও কখনও আরও বেশি। এখানে আপনি আপনার ব্যবহারের ধরণ এবং ব্যাটারির প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে আপনি একটি উপযুক্ত সময়সীমা নির্বাচন করতে পারেন। তবে ব্যাটারি সাশ্রয়ের জন্য স্ক্রিন টাইমআউটের সময় ১৫ থেকে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে রাখা সবচেয়ে ভালো।
অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ করুন

আধুনিক স্মার্টফোন ব্যবহারের একটি সাধারণ বিষয় হলো বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন থেকে আসা অসংখ্য নোটিফিকেশন। এই নোটিফিকেশনগুলো প্রায়শই আমাদের ফোনের স্ক্রিনকে আলোকিত করে এবং একটি ভাইব্রেশন তৈরি করে, যা আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। তবে, এই নোটিফিকেশন কেবল আমাদের মনোযোগে ব্যাঘাতই ঘটায় না, বরং এটি আমাদের মূল্যবান ব্যাটারির চার্জও নিঃশেষ করে ফেলে। বিশেষ করে যখন এমন অ্যাপ্লিকেশনগুলো থেকেও নোটিফিকেশন আসতে থাকে যেগুলোর আপডেট বা তথ্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তেমন একটা প্রয়োজনীয় নয়।
এই অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশনগুলো একদিকে যেমন আমাদের কাজের সময় বিরক্তি সৃষ্টি করে, তেমনি অন্যদিকে ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকার কারণে ফোনের ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ করে ফেলে। তাই, সেই সকল অ্যাপ্লিকেশন চিহ্নিত করে বন্ধ করে দিন যেগুলোর নোটিফিকেশন তেমন একটা প্রয়োজন নেই।
আপনার স্মার্টফোনের সেটিংস-এ প্রতিটি অ্যাপ্লিকেশনের জন্য আলাদা নোটিফিকেশন ব্যবস্থাপনার সুযোগ রয়েছে। এই সেটিংস-এ প্রবেশ করে আপনি নির্দিষ্ট কোনো অ্যাপের নোটিফিকেশন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিতে পারেন অথবা কোন ধরণের নোটিফিকেশন আপনি দেখতে চান, তা নির্ধারণ করতে পারেন। নিয়মিতভাবে এই সেটিংস পর্যালোচনা করা এবং অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশনগুলো বন্ধ রাখা আপনার স্মার্টফোনের কার্যকারিতা এবং ব্যাটারি লাইফ উভয়ের জন্যই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আরও দেখুনঃ ফোন হ্যাং করলে কি করবেন? জেনে নিন!
ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ রিফ্রেশ (Background App Refresh) নিয়ন্ত্রণ করুন

কিছু অ্যাপ্লিকেশন, যা আমাদের অজান্তেই ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা ব্যবহার করতে থাকে। এই অ্যাপগুলো যখন ব্যাকগ্রাউন্ডে সক্রিয় থাকে, তখন তারা নিয়মিতভাবে ডেটা আদান-প্রদান করে, নোটিফিকেশন পাঠায় এবং অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই প্রক্রিয়াটি কেবল মূল্যবান ডেটা খরচ করে না, বরং একই সাথে আপনার ডিভাইসের প্রসেসিং পাওয়ার এবং ব্যাটারির চার্জও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে।
এই সমস্যা সমাধানের অত্যন্ত কার্যকর উপায় হলো আপনার ডিভাইসের সেটিংসে গিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ রিফ্রেশ হাওয়ার সেটিংসটি বন্ধ করে দেওয়া। আধুনিক স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেমে এই ধরনের সেটিংস সকল ফোনেই উপলব্ধ থাকে। এখান থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ রিফ্রেশ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিন।
ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ প্রয়োজন না হলে বন্ধ রাখুন

যখন আপনার ওয়াই-ফাই বা ব্লুটুথ সক্রিয় থাকে এবং কোনো নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত থাকে না, তখন আপনার ডিভাইসটি কাছাকাছি উপলব্ধ নেটওয়ার্কগুলোর জন্য ক্রমাগত স্ক্যান করতে থাকে। এই প্রক্রিয়াটি ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে এবং এর জন্য ডিভাইসের প্রসেসিং পাওয়ার ও ব্যাটারির শক্তির প্রয়োজন হয়। অনেকটা যেন একটি রাডার অনবরত সংকেত খুঁজে বেড়াচ্ছে।
এই অনবরত স্ক্যানিং এর ফলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ব্যাটারি খরচ হয়, বিশেষ করে যখন আপনি দীর্ঘ সময় ধরে ওয়াই-ফাই বা ব্লুটুথ ব্যবহার করছেন না। এর ফলে আপনার ডিভাইসের চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে যেতে পারে এবং আপনাকে ঘন ঘন চার্জ করার ঝামেলায় পড়তে হতে পারে।
তাই ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ প্রয়োজন না হলে বন্ধ রাখুন এটি কেবল আপনার ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফ দীর্ঘায়িত করবে না, বরং অপ্রয়োজনীয় রেডিও তরঙ্গের বিকিরণও কমিয়ে আনবে।
পাওয়ার সেভিং মোড ব্যবহার করুন

পাওয়ার সেভিং মোড হলো আপনার স্মার্টফোনের একটি বিশেষ অবস্থা যা ব্যাটারির ব্যবহার কমিয়ে ফোনটিকে দীর্ঘক্ষণ সচল রাখতে সাহায্য করে। যখন আপনার ফোনের ব্যাটারি প্রায় শেষের দিকে থাকে অথবা আপনি এমন পরিস্থিতিতে থাকেন যেখানে দ্রুত চার্জ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই, তখন এই মোডটি একটি আশীর্বাদস্বরূপ কাজ করে। এটি চালু করার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার ফোনের কার্যকারিতায় কিছু পরিবর্তন আসে।
পাওয়ার সেভিং মোড চালু করলে, ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু অপ্রয়োজনীয় ফাংশন বন্ধ করে দেয়। যার কারনে আপনার স্মার্টফোনটিকে আরও বেশি সময় ধরে ব্যবহার করতে পারবেন, বিশেষ করে যখন আপনি এমন পরিবেশে থাকবেন যেখানে চার্জ দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই, যখনই আপনার ব্যাটারি কম থাকবে অথবা আপনি জানেন যে দীর্ঘ সময় চার্জ দেওয়ার সুযোগ পাবেন না তখনি পাওয়ার সেভিং মোড চালু করুন এটি সুধু আপনার চার্জ ধরে রাখতেই সাহায্য করবে না এটি আপনার ব্যাটারি লাইফ বাড়াতেও সাহায্য করবে।
চরম তাপমাত্রা এড়িয়ে চলুন

গরম তাপমাত্রা ব্যাটারির রাসায়নিক বিক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, যা সময়ের সাথে সাথে ব্যাটারির অভ্যন্তরীণ উপাদানগুলোর ক্ষয় এবং কর্মক্ষমতা হ্রাসের কারণ হতে পারে। সরাসরি সূর্যের আলোতে বা গরম স্থানে ফোন রাখলে ব্যাটারি অতিরিক্ত উত্তপ্ত হতে পারে। এর ফলে ব্যাটারির ধারণক্ষমতা কমে যেতে পারে, চার্জ দ্রুত শেষ হতে পারে এবং এমনকি ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার মতো গুরুতর সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
অন্যদিকে, অতিরিক্ত ঠান্ডা তাপমাত্রাও ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর। ঠান্ডায় ব্যাটারির রাসায়নিক বিক্রিয়া ধীর হয়ে যায়, যার ফলে ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমে যায় এতে চার্জ দ্রুত শেষ হতে পারে। এমনকি খুব বেশি ঠান্ডায় ফোন বন্ধও হয়ে যেতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত ঠান্ডা তাপমাত্রায় ফোন রাখলে ব্যাটারির স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। শীতকালে বা ঠান্ডা পরিবেশে ফোন ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখা উচিত এবং সম্ভব হলে ফোনটিকে উষ্ণ রাখার চেষ্টা করা উচিত।
সঠিক চার্জার ব্যবহার করুন

যখন আপনি ফোন চার্জ করেন তখন আপনার ফোনের সাথে আসা আসল চার্জারটি ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর কারণ হলো, প্রতিটি ফোন মডেলের নিজস্ব পাওয়ার গ্রহণের ক্ষমতা এবং ব্যাটারির বৈশিষ্ট্য থাকে। অরিজিনাল চার্জারটি বিশেষভাবে সেই মডেলের জন্য ডিজাইন করা হয়, যা আপনার ফোনের ব্যাটারিতে সঠিক পরিমাণে এবং স্থিতিশীলভাবে পাওয়ার সরবরাহ করতে পারে। এর ফলে, আপনার ফোনটি দ্রুত এবং নিরাপদে চার্জ হবে।
অন্যদিকে, যখন আপনি অন্য কোনো চার্জার ব্যবহার করেন, তখন চার্জিং স্পিড এবং ব্যাটারির স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ভুল ভোল্টেজ বা কারেন্টের চার্জার ব্যবহারের ফলে ব্যাটারির কার্যকারিতা কমে যেতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
শুধু তাই নয়, কিছু নিম্নমানের বা নকল চার্জার ব্যবহার করলে আপনার ফোনের অভ্যন্তরীণ সার্কিটে শর্ট সার্কিট হওয়ার ঝুঁকিও থাকে, যা আপনার মূল্যবান ডিভাইসটিকে সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে দিতে পারে। প্রস্তুতকারক কোম্পানি তাদের ফোনের ব্যাটারি এবং পাওয়ার অ্যাডাপ্টারের মধ্যে একটি সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্য কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ করে। অরিজিনাল চার্জার ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি সেই মান নিয়ন্ত্রণের সুবিধা পান এবং আপনার ফোনের সুরক্ষা নিশ্চিত করেন। তাই, আপনার ফোনের ব্যাটারি ভালো রাখার এবং সর্বোত্তম পারফরম্যান্সের জন্য, সর্বদা ফোনের সাথে আসা আসল চার্জারটি ব্যবহার করুন।
ব্যাটারি পুরোপুরি ডিসচার্জ করা এড়িয়ে চলুন

আধুনিক লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির চার্জ একেবারে শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনা বা পুরোপুরি ডিসচার্জ করা ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর। যখন লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি খুব বেশি ডিসচার্জ হয়ে যায়, তখন এর অভ্যন্তরীণ রাসায়নিক প্রক্রিয়া এমনভাবে পরিবর্তিত হতে পারে যা ব্যাটারির সামগ্রিক জীবনকাল কমিয়ে দেয় এবং এর কর্মক্ষমতা দুর্বল করে ফেলে। এমনকি অতিরিক্ত ডিসচার্জের কারণে ব্যাটারি “ডিপ ডিসচার্জ” অবস্থায় চলে যেতে পারে, যেখান থেকে তাকে পুনরুদ্ধার করা কঠিন বা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এজন্যই আধুনিক লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ক্ষেত্রে পরামর্শ দেওয়া হয় যে, ব্যাটারির চার্জ ২০% এর নিচে নামার আগেই তাকে রিচার্জ করা উচিত। এমনকি, আরও ভালো ফল পেতে অনেকেই ৪০% এর কাছাকাছি চার্জ থাকা অবস্থায় ব্যাটারি চার্জ করে থাকেন। এর ফলে ব্যাটারির উপর কম চাপ পড়ে এবং তার দীর্ঘস্থায়িত্ব বজায় থাকে। তাই বর্তমানে যেহেতু সকল ফোনেই লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যাবহার করা হয় সেজন্য নিয়মিত ২০% এর নিচে চার্জ যাওয়ার আগেই আপনার ফোন চার্জ করুন।
সফটওয়্যার আপডেট রাখুন

স্মার্টফোন এবং তাতে থাকা অ্যাপ্লিকেশনগুলোর সর্বদা সর্বশেষ সংস্করণ ব্যবহার করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। প্রায়ই, সফটওয়্যার নির্মাতারা নিয়মিতভাবে তাদের অ্যাপ্লিকেশন এবং অপারেটিং সিস্টেমের জন্য আপডেট প্রকাশ করে। এই আপডেটগুলোর মূল উদ্দেশ্য থাকে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান করা এবং নতুন কিছু বৈশিষ্ট্য যোগ করা। তবে, এর বাইরেও এই আপডেটগুলোর একটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা হলো ব্যাটারি ব্যবহারের দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
পুরোনো সংস্করণে কিছু ত্রুটি বা দুর্বলতা থাকতে পারে যা অতিরিক্ত ব্যাটারি খরচ করতে পারে। যখন আপনি আপনার ফোন এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলো আপডেট করেন, তখন সেই ত্রুটিগুলো সংশোধন করা হয় এবং ব্যাটারির ব্যবহার আরও অপ্টিমাইজ করা হয়। এর ফলে, একই পরিমাণ ব্যবহারে আপনার ফোনের চার্জ আগের চেয়ে বেশি সময় ধরে টিকতে পারে।
তাই, আপনার ফোনের ব্যাটারির কার্যকারিতা বজায় রাখতে এবং দীর্ঘক্ষণ পাওয়ার ব্যাকআপ পেতে নিয়মিতভাবে আপনার ডিভাইস এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলো আপডেট করুন।
এই সহজ টিপসগুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার ফোনের ব্যাটারির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারবেন এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে আপনার ডিভাইসটি ব্যবহার করতে পারবেন। মনে রাখবেন, আপনার ফোনের যত্ন নেওয়া মানেই তার দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করা।