বর্তমান সময়ে, দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি প্রয়োজনীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইন্টারনেট বর্তমানে বিলাসিতা নয় এটি আমাদের জীবনের একটি অংশ। আমাদের কাজ, বিনোদন, এবং প্রিয়জনদের সাথে সংযুক্ত থাকার বিষয়গুলো সম্পন্ন হয় এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে। আর যখনি আপনি একটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ নেয়ার কথা ভাবেন তখন সবার আগে মাথায় আসে একটি রাউটার এর বিষয়টি, কারণ এই ইন্টারনেট সংযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে একটি রাউটার যা আপনাকে Wi-Fi সিগন্যাল এর মাধ্যমে ইন্টারনেট এর সাথে সংযুক্ত রাখে। কিন্তু বাজারে বিভিন্ন রকমের রাউটার থাকার কারণে কোনটি রেখে কোনটি কিনব? কোনটি সেরা হবে? এই বিষয় আমরা বেশ চিন্তার মধ্যে পড়ে যাই।
তাহলে চলুন, দেখে নেয়া যাক আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কিভাবে সঠিক রাউটার নির্বাচন করবেন? এবং রাউটার কেনার সময় কি কি বিষয়ের উপর নজর রাখা উচিৎ।
এই নিবন্ধে যা যা থাকছে
আপনার বাড়ির আকার এবং ডিজাইন

আপনার বাড়ির আকার এবং ডিজাইন একটি উপযুক্ত রাউটার বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাড়ির স্থান এবং স্থাপত্যের উপর নির্ভর করে, আপনার একটি সাধারণ রাউটার প্রয়োজন হতে পারে অথবা আরও উন্নত মেশ Wi-Fi সিস্টেম লাগতে পারে।
১০০০ বর্গফুটের কম ছোট ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্টের জন্য একটি সিঙ্গেল রাউটারই যথেষ্ট। এটি সহজ এবং সাশ্রয়ী সমাধান। অন্যদিকে, ১০০০ থেকে ২৫০০ বর্গফুটের মাঝারি আকারের বাড়ির জন্য, একটি হাই পারফরম্যান্স সিঙ্গেল রাউটার ঘরের মাঝামাঝি রাখলে ভালো কভারেজ দিতে পারে, তবে কিছু জায়গায় সিগন্যাল দুর্বল হতে পারে যেগুলোকে (ডেড জোন) বলে, এক্ষেত্রে মেশ Wi-Fi সিস্টেম ব্যাবহার করা উচিত। এটি একাধিক রাউটার ইউনিট ব্যবহার করে বিস্তৃত ও নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক তৈরি করে।
এছাড়া, ২৫০০ বর্গফুটের বেশি বড় বাড়ি বা একাধিক তলার জন্য মেশ Wi-Fi সিস্টেম অপরিহার্য। একাধিক নোড বা রাউটার ব্যবহার করে এটি পুরো বাড়িতে নিরবচ্ছিন্ন Wi-Fi কভারেজ নিশ্চিত করে এবং সিগনাল ড্রপ বা ডেড জোন হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়, যা হাই ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের জন্য একটি আদর্শ সমাধান।
আরও দেখুনঃ মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়
ব্যবহৃত ডিভাইসের সংখ্যা

আপনার বাড়িতে একসাথে কতগুলো ডিভাইস ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকে তা হিসাব করুন। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, স্মার্ট টিভি, গেমিং কনসোল, স্মার্ট হোম ডিভাইস ইত্যাদি। যদি আপনার বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে ডিভাইস সংযুক্ত থাকে, তবে একটি শক্তিশালী প্রসেসর এবং বেশি RAM সম্পন্ন রাউটার প্রয়োজন হবে যা একাধিক ডিভাইসে একসাথে ডেটা সরবরাহ করতে সক্ষম। এছাড়া MU-MIMO (Multi-User, Multiple-Input, Multiple-Output) প্রযুক্তি সম্পন্ন রাউটারগুলো একই সময়ে একাধিক ডিভাইসে কোন সমস্যা ছাড়া ডেটা আদান প্রদন করতে পারে।
আপনার ইন্টারনেট প্যাকেজের গতির সাথে মানানসই রাউটার কিনুন

আপনার ইন্টারনেট প্যাকেজে যে গতি (স্পিড) নির্ধারণ করা আছে, সেই অনুযায়ী রাউটার কেনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় আমরা দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ নিই, যেমন ১০০ Mbps বা তারও বেশি, কিন্তু যে রাউটার ব্যবহার করি তা সেই পুরো গতি সরবরাহ করতে পারে না। এর কারণ হলো, সব রাউটারের ডেটা প্রসেসিং ক্ষমতা একরকম নয়। একটি কম গতির বা পুরোনো মডেলের রাউটার আপনার উচ্চ গতির ইন্টারনেট প্যাকেজের সম্পূর্ণ সুবিধা দিতে পারবে না, যার ফলে আপনি ইন্টারনেটের ধীর গতি অনুভব করবেন।
তাই, রাউটার কেনার আগে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিন যে, সেটি আপনার ইন্টারনেট প্যাকেজের সর্বোচ্চ গতি সমর্থন করে। রাউটারের প্যাকেজিং বা স্পেসিফিকেশনে সাধারণত তার সর্বোচ্চ সমর্থিত গতি (maximum supported speed) উল্লেখ করা থাকে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার ইন্টারনেট প্যাকেজ ১০০ Mbps হয়, তবে এমন একটি রাউটার কিনুন যা কমপক্ষে ১০০ Mbps বা তার বেশি গতি সমর্থন করে। এতে করে আপনার ইন্টারনেটের সম্পূর্ণ গতি আপনি উপভোগ করতে পারবেন এবং অনলাইন কার্যক্রম যেমন স্ট্রিমিং, গেমিং বা ফাইল ডাউনলোড করতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হবেন না। সঠিক রাউটার নির্বাচন আপনার ইন্টারনেটের অভিজ্ঞতাকে অনেক উন্নত করতে পারে।
১০০ Mbps বা তার কম স্পিডের জন্য Wi-Fi 5
আপনি যদি ১০০ Mbps বা তার কম স্পিডের ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তবে একটি সাধারণ Wi-Fi 5 (802.11ac) রাউটার আপনার জন্য যথেষ্ট হবে। Wi-Fi 5 রাউটারগুলো 2.4 GHz এবং 5 GHz ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড ব্যবহার করে। 5 GHz ব্যান্ড সাধারণত হাই স্পিড ডেটা ট্রান্সফার করে, যদিও এর কভারেজ 2.5 GHz ব্যান্ডের চেয়ে কিছুটা কম হতে পারে। তবে দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য, যেমন – ওয়েব ব্রাউজিং, ইমেল ব্যাবহার, সোশ্যাল মিডিয়া এবং স্ট্যান্ডার্ড ডেফিনিশনের ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের জন্য Wi-Fi 5 রাউটারই যথেষ্ট।
২০০ Mbps বা তার বেশি স্পিডের জন্য Wi-Fi 6 বা Wi-Fi 6E
যদি আপনার ইন্টারনেটের গতি ২০০ Mbps বা তার বেশি হয়, তবে আপনার Wi-Fi 6 (802.11ax) বা Wi-Fi 6E রাউটার কেনা উচিত।
- Wi-Fi 6 (802.11ax): এই রাউটারগুলো শুধু দ্রুত গতির জন্যই নয়, বরং একাধিক ডিভাইস সংযুক্ত থাকা অবস্থায়ও উন্নত কর্মক্ষমতা প্রদান করে। Wi-Fi 6 প্রযুক্তি OFDMA (Orthogonal Frequency-Division Multiple Access) এবং MU-MIMO (Multi-User, Multiple-Input, Multiple-Output) এর মতো বৈশিষ্ট্যগুলি ব্যবহার করে, যা ডেটা ট্রান্সফারকে আরও দক্ষ করে তোলে এবং নেটওয়ার্কে লেটেন্সি কমায়। যার ফলে 4K ভিডিও স্ট্রিমিং, অনলাইন গেমিং এবং বড় ফাইল ডাউনলোডের মতো কাজগুলো আরও সহজে করা যায়।
- Wi-Fi 6E: Wi-Fi 6E রাউটারগুলো Wi-Fi 6-এর সব সুবিধার পাশাপাশি 6 GHz ব্যান্ড ব্যবহার করে, যা অত্যন্ত কম লেটেন্সি এবং হাই স্পিড ডেটা ট্রান্সফারের জন্য উপযুক্ত। 6 GHz ব্যান্ড একটি “নতুন হাইওয়ে” এর মতো, যেখানে 5 GHz ব্যান্ডের মতো অন্যান্য ডিভাইসগুলোর ট্রাফিক নেই। এর ফলে, আপনি আপনার সংযুক্ত ডিভাইসগুলিতে সর্বোচ্চ সম্ভাব্য স্পিড এবং সর্বনিম্ন লেটেন্সি উপভোগ করতে পারবেন। তবে, Wi-Fi 6E এর সুবিধা নিতে আপনার ডিভাইসগুলোকেও 6 GHz ব্যান্ড সমর্থন করতে হবে।
বাজেট অনুযায়ী রাউটার কেনা

রাউটার কেনার সময় শুধু ভালো ব্র্যান্ড বা বেশি ফিচারের দিকে না তাকিয়ে বাজেট অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কেননা, সবার ইন্টারনেট ব্যবহারের চাহিদা এক নয় এবং সেজন্য প্রয়োজন অনুযায়ী রাউটার বেছে নেওয়াই শ্রেয়। বাজারে বিভিন্ন মূল্যের রাউটার পাওয়া যায়, যা এন্ট্রি-লেভেল থেকে শুরু করে প্রফেশনাল গেমিং বা হাই-পারফরম্যান্স ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
তাই একটি সঠিক রাউটার বেছে নিতে হলে বাজেট নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বাজেট আপনাকে আপনার পছন্দের রাউটারগুলো নির্বাচন করতে সাহায্য করবে এবং অপ্রয়োজনীয় বা অতিরিক্ত দামের মডেলগুলো বাদ দিতে সুবিধা হবে।।
একবার বাজেট নির্ধারণ হয়ে গেলে, সেই বাজেটের মধ্যে সেরা ফিচার এবং পারফরম্যান্সের রাউটারটি বেছে নেওয়ার চেষ্টা করুন। এটা মনে রাখা জরুরি যে, শুধু সস্তা দেখে রাউটার কিনলে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার টাকা বাঁচলেও, দীর্ঘমেয়াদে তা আপনার ইন্টারনেট ব্যবহার এর অভিজ্ঞতার জন্য খারাপ হতে পারে। সস্তা রাউটারগুলোতে সাধারণত প্রসেসিং ক্ষমতা কম থাকে, অ্যান্টেনা দুর্বল মানের হয় এবং প্রয়োজনীয় আধুনিক প্রযুক্তির অভাব দেখা যায়।
এর ফলস্বরূপ, আপনি ইন্টারনেটে ধীর গতি, ঘন ঘন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া, বা আপনার বাসার সব জায়গায় ওয়াই-ফাই সিগন্যাল না পাওয়ার মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই, বাজেটকে গুরুত্ব দিয়ে মানসম্পন্ন রাউটার কেনা উচিত, যা আপনার ইন্টারনেট ব্যবহারের চাহিদা পূরণ করবে এবং আপনাকে একটি ভালো অনলাইন অভিজ্ঞতা দেবে।
আরও উন্নত ফিচার

ইন্টারনেট অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করতে কিছু রাউটারে বিশেষ সুবিধা থাকে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এই বৈশিষ্ট্যগুলো দেখে নিতে পারেন
- প্যারেন্টাল কন্ট্রোল (Parental Controls): শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে এই ফিচারটি অত্যন্ত কার্যকর। এর মাধ্যমে আপনি যেকোনো ওয়েবসাইট ব্লক করতে পারবেন, ব্যাবহারের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিতে পারবেন এবং ইন্টারনেট অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
- গেস্ট নেটওয়ার্ক (Guest Network): বাড়িতে অতিথি এলে তাদের জন্য একটি আলাদা Wi-Fi নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারবেন। এতে আপনার মূল নেটওয়ার্ক সুরক্ষিত থাকবে এবং অতিথিরা নির্বিঘ্নে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।
- পোর্ট ফরওয়ার্ডিং (Port Forwarding): পোর্ট ফরওয়ার্ডিং এমন একটি ফিচার যা অনলাইন গেমিং বা নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য জরুরি। এটি আপনার ইন্টারনেট ট্র্যাফিককে একটি নির্দিষ্ট ডিভাইস বা অ্যাপ্লিকেশনে সরাসরি পাঠিয়ে দেয়, যার ফলে ওই অ্যাপ বা গেমগুলো নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে।
- QoS (Quality of Service): আপনার পরিবারের একাধিক সদস্য যদি একই সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং আপনার নির্দিষ্ট কোন কাজে ইন্টারনেটে বেশি অগ্রাধিকার দরকার হয়, তাহলে আপনি QoS ব্যবহার করে সেই কাজের জন্য ব্যান্ডউইথ নির্দিষ্ট করে দিতে পারবেন।
- USB পোর্ট: এই সুবিধা থাকলে আপনি আপনার প্রিন্টার বা অন্যান্য স্টোরেজ ডিভাইস সরাসরি রাউটারের সাথে সংযুক্ত করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারবেন। এতে নেটওয়ার্কের যেকোনো ডিভাইস থেকে সেগুলোতে অ্যাক্সেস করা সহজ হবে।
- VPN সাপোর্ট (VPN Support): যারা নিজেদের অনলাইন নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন, তাদের জন্য VPN সাপোর্ট থাকা রাউটার অত্যন্ত উপযোগী। এর মাধ্যমে আপনি সরাসরি রাউটার থেকেই VPN কানেকশন স্থাপন করতে পারবেন, যা আপনার নেটওয়ার্কের সমস্ত ডিভাইসের জন্য প্রযোজ্য হবে।
ব্র্যান্ড এবং রিভিউ

রাউটার কেনার ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড এবং রিভিউ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাজারে বিভিন্ন সুপরিচিত ব্র্যান্ড যেমন TP-Link, D-Link, Tenda, Netgear, Xiaomi ইত্যাদি রাউটার তৈরি করে। এসব ব্র্যান্ডের পণ্যগুলো সাধারণত মানসম্পন্ন হয় এবং নির্ভরযোগ্যতা ও পারফরম্যান্সের জন্য এদের সুনাম থাকে।
নামকরা ব্র্যান্ডগুলো তাদের পণ্যের গুণগত মান, স্থায়িত্ব এবং প্রযুক্তিগত আপডেটের দিকে নজর রাখে, যার ফলে এসব রাউটার সহজে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। এছাড়াও, সুপরিচিত ব্র্যান্ডগুলো প্রায়শই ভালো গ্রাহক সেবা এবং ওয়ারেন্টি প্রদান করে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য বাড়তি সুবিধার কারণ হয়।
অন্যদিকে, রাউটার কেনার আগে অন্যান্য ব্যবহারকারীদের রিভিউ দেখা খুবই জরুরি। অনলাইন শপগুলোতে বা টেক-ফোরামগুলোতে অন্যান্য গ্রাহকরা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, যা আপনাকে একটি নির্দিষ্ট মডেলের রাউটারের ভালো-মন্দ দিক সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে। রিভিউ দেখে আপনি রাউটারের বাস্তব কর্মক্ষমতা, রেঞ্জ, স্থায়িত্ব, এবং সেটআপের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে একটি ধারণা পাবেন।
যদি বেশিরভাগ রিভিউ ইতিবাচক হয় এবং ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট মডেলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট থাকেন, তাহলে সেই রাউটারটি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া নিরাপদ হতে পারে। তবে, কিছু নেতিবাচক রিভিউও থাকতে পারে; সেগুলোকেও বিবেচনা করা উচিত। সব মিলিয়ে, ব্র্যান্ডের সুনাম এবং গ্রাহক রিভিউ দেখে রাউটার কেনা আপনাকে একটি ভালো মানের, নির্ভরযোগ্য এবং আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সেরা রাউটারটি বেছে নিতে সাহায্য করবে।
নিরবিছিন্ন ইন্টারনেট ব্যাবহার এবং ভালো আভিজ্ঞতার জন্য সঠিক রাউটার নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, আরও কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানাতে ভুলবেন না কিন্তু!