গরমের তীব্র দাবদাহে যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত, তখন এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত যেন মুহূর্তেই শরীর ও মনকে সতেজ করে তোলে। আর সেই শরবত যদি হয় কাঁচা আমের, তবে তো কথাই নেই! কাঁচা আমের টক-মিষ্টি স্বাদে তৈরি এই শরবত শুধু যে তৃষ্ণা মেটায় তাই নয়, এর মনোমুগ্ধকর গন্ধ এবং স্বাদ ইন্দ্রিয়কেও শান্তি এনে দেয়। আসুন, আজ আমরা জেনে নিই জিভে জল আনা এই কাঁচা আমের শরবত তৈরির সহজ প্রণালী। এই শরবত বানানো যেমন সহজ, তেমনই এর স্বাদ মন জয় করে নেওয়ার মতো। গরমের দুপুরে বা সন্ধ্যায় এক গ্লাস কাঁচা আমের শরবত যেন এক টুকরো শান্তি এনে দেয়।
যে উপকরন লাগবে
- কাঁচা আম – ২-৩ টি(মাঝারি আকারের)
- চিনি – স্বাদ অনুযায়ী (তবে প্রথমে ২-৩ চামচ দিয়ে শুরু করতে পারেন)
- বিট লবণ – ১/২ চা চামচ (এটা কিন্তু শরবতের স্বাদ একদম পাল্টে দেয়!)
- ভাজা জিরা গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক, তবে দিলে স্বাদ বাড়ে)
- পুদিনা পাতা – কয়েকটি (সাজানোর জন্য এবং সুন্দর গন্ধের জন্য)
- ঠান্ডা জল – পরিমাণ মতো
প্রস্তুত প্রণালী
- প্রথমে কাঁচা আমগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন।
- কেটে নেওয়া আমের টুকরোগুলো একটি ব্লেন্ডারে নিন। এর সাথে চিনি, বিট লবণ এবং ভাজা জিরা গুঁড়ো (যদি ব্যবহার করেন) যোগ করুন।
- সামান্য জল দিয়ে সবকিছু একসাথে মিহি করে ব্লেন্ড করে নিন। খেয়াল রাখবেন যেন কোনো বড় টুকরো না থাকে।
- ব্লেন্ড করা মিশ্রণটি একটি ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে নিন। এতে আমের আঁশ বা কোনো শক্ত অংশ থাকলে তা আলাদা হয়ে যাবে এবং শরবতটা একদম মসৃণ হবে।
- এবার পরিমাণ মতো ঠান্ডা জল মেশান। শরবতের ঘনত্ব যেমন চান, সেই অনুযায়ী জল মেশাতে পারেন। খুব বেশি ঘন বা খুব বেশি পাতলা না করাই ভালো।
- চিনি এবং লবণের স্বাদ চেখে দেখুন। যদি প্রয়োজন হয়, এই সময় আরও একটু চিনি বা বিট লবণ মেশাতে পারেন।
- ব্যাস! তৈরি হয়ে গেল আপনার জিভে জল আনা কাঁচা আমের শরবত।
- পরিবেশনের আগে গ্লাসে ঢেলে কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে নিন। ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন, দেখবেন মুহূর্তেই ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।
এই শরবত বানানো যেমন সহজ, তেমনই এর স্বাদ মন জয় করে নেওয়ার মতো। গরমের দুপুরে বা সন্ধ্যায় এক গ্লাস কাঁচা আমের শরবত যেন এক টুকরো শান্তি এনে দেয়।